চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডি-৮ সম্মেলনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বুধবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি জানান, মিশর ২০২৪ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মিশর প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি সংস্থা ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত।
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডি-৮ এর লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্পর্কের বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় মিশরের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মানজনক ভূমিকা গ্রহণ করায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।
বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন চলাকালে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে ২০২৪ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য উপায়গুলো অনুসন্ধান করা হয়।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করতে মিশর সম্মতি জানায়।
সহযোগিতা ক্ষেত্র হিসেবে কৃষি, পেট্রোরসায়ন, বস্ত্রবয়ন ও জাহাজ শিল্পকে গুরুত্ব দেন তারা।
ফিলিস্তিনি জনগণকে বাংলাদেশ যে মানবিক সহায়তা দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় উপদেষ্টা চলমান সংঘাত নিরসনে আরব দেশগুলো এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংহতি বাড়ানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।