বাংলাদেশ ক্রিকেটের একমাত্র পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অবশেষে নাজমুল হাসান পাপনের দীর্ঘ সময়ের কর্তৃত্বের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেল। নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফারুক আহমেদ।
বুধবার (২১ আগস্ট) পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর একই বৈঠকে ফারুক আহমেদকে সভাপতি মনোনীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিসিবি সূত্র জানায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সশরীরে হাজির ছিলেননা পাপন। তিনি অনলাইনে সভায় যুক্ত হয়ে পদত্যাগ করেন। তার সঙ্গে আরো কয়েকজন পরিচালক পদ ছাড়তে পারেন বলে গুঞ্জন আছে।
এদিকে, বিসিবি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আইসিসি’র নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে কমিটি গঠনে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্টরা। তবে সচিবালয়ে বিসিবির সভা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
সবাই একযোগে পদত্যাগ না করে বোর্ডের কয়েকজনকে রেখেই বোর্ড পুনর্গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
সূত্র বলছে, বিসিবি পুনর্গঠনের জন্য ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কার্যালয় থেকে কয়েকজন ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফারুক আহমেদ।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় ছিলেন দুই সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম ও খালেদ মাসুদ এবং ক্রিকেট কোচ ও বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। আলোচনায় ছিলেন বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশরাফুল হকের নামও। তবে শেষ পর্যন্ত ফারুক আহমেদের কাঁধেই উঠলো ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ প্রধানের দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, এর আগে দুই মেয়াদে বিসিবির প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ফারুক আহমেদ। প্রথম মেয়াদে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত, আর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে কলহের জের ধরে পদত্যাগ করেন তিনি