মায়ানমারে জনসাধারনের প্রতিরোধ যুদ্ধের জবাবে দেশটির সামরিক গোষ্ঠী জান্তা সম্প্রতি বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে এক ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। এতে ১২ শিশুসহ অন্তত ৪০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। খবর দ্যা ইরাবতির।
জান্তার বেহাত হয়ে যাওয়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে চালিত ওই অভিযানে স্কুল, বাজার, এবং একটি আইডিপি ক্যাম্প সহ বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় সংবাদ মাধ্যম। জানাগেছে, জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সরাসরি নির্দেশেরই এই বেসামরিক নিধনযজ্ঞ পরিচালিত হয়।
এদিকে, সামরিক দখলদারিত্ব প্রতিরোধী গোষ্ঠী এবং অধিকার সংস্থাগুলি বলছে যে, জান্তা যুদ্ধে পরাজয় এবং ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ হারানোর প্রতিশোধ নিতেই বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্যবস্তু করে এমন নির্লজ্জ হামলা চালায়; যা যুদ্ধাপরাধের সঙ্কটকে বাড়িয়ে তুলছে।
বিপ্লবী দলগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীতে বিমানের জ্বালানি ও গোলাবারুদ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং আসিয়ানের কাছে তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে জান্তার নির্বিচারে হামলা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছে।
সম্প্রতি চিন, শান এবং কারেনি রাজ্য এবং ম্যাগওয়ে, সাগাইং এবং মান্দালয় অঞ্চলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক জান্তা বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, বিনা উস্কানিতে একটি জান্তা ফাইটার জেট ৩০০-পাউন্ড বোমা এবং মেশিনগান ব্যবহার করে মায়াং টাউনশিপ, ম্যাগওয়ে অঞ্চলের লাত ইয়াত মা গ্রামে একটি স্কুলে হামলা চালায়।
দেশটির সেনা শাসন বিরোধী গ্রুপ উই লাভ মিয়াং-জানায়, হামলায় একটি শিশুসহ ছয়জন গ্রামবাসী নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। ওই বিমান হামলায় বাসিন্দাদের এক ডজন গরুও মারা গেছে। ধবংসস্তুপে পরিনত হয়েছে স্কুল ভবন এবং আশেপাশের বাড়িগুলি। একই দিনে মান্দালয় অঞ্চলের নাটোগি টাউনশিপ এবং চিন রাজ্যের মিন্দাত টাউনশিপের গ্রামে জান্তা বিমান হামলায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।