ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...

নিরাপত্তার আশ্বাসে খুলছে পোশাক কারখানা

যৌক্তিক দাবিদাওয়া পূরণ ও নিরাপত্তার আশ্বাসের পর আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা আবারো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

গতকাল শুক্রবার (৬ আগস্ট) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর বিজিএমইএর নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, শিল্প বন্ধ রাখা কোনোভাবে কম্য নয়। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

তিনি বলেন, শ্রমিকনেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবিদাওয়া থাকলে মালিকপক্ষকে লিখিত দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

দুই সপ্তাহ ধরে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ওষুধ ও তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। তৈরি পোশাক কারখানার বিক্ষোভে বহিরাগত, ছাঁটাই করা ও কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই অংশ নেন। তারা বিভিন্ন কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এছাড়া হামলায় আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আশুলিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে সেদিন ১২৯ তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েল ‘সম্পর্কে কৌশলি’ যুক্তরাষ্ট্র: বড় হুমকির মুখে মধ্যপ্রাচ্যের বেসামরিক নিরাপত্তা

নিরাপত্তার আশ্বাসে খুলছে পোশাক কারখানা

আপডেট সময় : ১০:২০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যৌক্তিক দাবিদাওয়া পূরণ ও নিরাপত্তার আশ্বাসের পর আশুলিয়ার তৈরি পোশাক কারখানা আবারো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

গতকাল শুক্রবার (৬ আগস্ট) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর বিজিএমইএর নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, সব পক্ষই কারখানা সচল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। তারা বলেছে, শিল্প বন্ধ রাখা কোনোভাবে কম্য নয়। উৎপাদন না হলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যবসাও অন্যত্র চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

তিনি বলেন, শ্রমিকনেতারা সাধারণ শ্রমিকদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো দাবিদাওয়া থাকলে মালিকপক্ষকে লিখিত দেওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুট ব্যবসা থেকে বিরত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

দুই সপ্তাহ ধরে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ওষুধ ও তৈরি পোশাকশিল্পে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। তৈরি পোশাক কারখানার বিক্ষোভে বহিরাগত, ছাঁটাই করা ও কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই অংশ নেন। তারা বিভিন্ন কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বেশ কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এছাড়া হামলায় আহত হন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরের পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আশুলিয়ায় বিক্ষোভ হয়েছে। সকালে কয়েকটি কারখানায় হামলা ও ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। দুপুরের পর অধিকাংশ কারখানা ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে সেদিন ১২৯ তৈরি পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়