সরকার পতনের পর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে দুর্নীতি এবং ঘুস বন্ধ মনিটরিং করছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের যুক্ত শিক্ষার্থীরা। আজ থেকে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ঘুস বাণিজ্য বন্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
যে সব প্রতিষ্ঠান সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে ঘুস দাবি করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিন তিনি।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লিখেছেন, ‘আজকের পর থেকে সরকারি বা বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে ঘুসের কবর রচিত হলো। যে প্রতিষ্ঠান ঘুস চাইবে, সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
অর্থনৈতিক লুটপাট, অর্থপাচার ও দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরার দাবি বহুদিনের। কিন্তু গুটিকয়েক ব্যক্তিকে আটক করে বরাবরই প্রশ্রয় পেয়েছেন রাঘব বোয়ালরা।
দীর্ঘদিন গেঁড়ে বসা সরকার পতনের পর মানুষের প্রত্যাশা, দ্রুত বন্ধ হবে দুর্নীতি। নিশ্চিত হবে সুশাসন। প্রশাসনিক খাত থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হয়রানির শেষ দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজর রাখতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোর দিকে নিশানা করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার সারজিস ফেসবুকে লিখেন, ‘অল আইস অন…(দুর্নীতির আখড়া) দুদক, ওয়াসা, রাজউক, পল্লীবিদ্যুৎ, পেট্রোবাংলা….আর?’